ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক এমনিতেই বিপর্যস্ত। এখন ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে আকস্মিক বন্যা। আকস্মিক এই বন্যায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রবল বৃষ্টির কারণে এই বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। ভূমিকম্পে গৃহহীন হওয়া হাজার হাজার মানুষ বিপদে পড়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

আকস্মিক বন্যায় বুধবার তুরস্কের ভূমিকম্প বিধ্বস্ত অঞ্চলজুড়ে তাঁবু ও কন্টেইনার আবাসনে বসবাসকারী কমপক্ষে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ানের ওপর আরো চাপ সৃষ্টি হলো বলে মনে করা হচ্ছে।

তুরস্কের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী সুলেমান সোয়লু বলেছেন, ‘উদ্ধারকারী দলগুলো এখনো তিনটি স্থানে নিখোঁজ পাঁচজনের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে। আকস্মিক বন্যার পরে তুরস্কের আদিয়ামান এবং সানলিউরফা প্রদেশের রাস্তাগুলো নদীতে পরিণত হয়েছে। পানিতে গাড়ি, বাড়িঘর এবং ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়াদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য তাঁবু এবং কন্টেইনারগুলো ভেসে গেছে।

সানলিউরফা প্রদেশে কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচজন সিরীয় নাগরিক রয়েছে। আদিয়ামান প্রদেশে ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়া একটি পরিবারকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল একটি কন্টেইনারে। বন্যায় সেই কন্টেইনার ভেসে যায়। এতে দুজন পানিতে ডুবে যায়।

ভূমিকম্প বিধ্বস্ত অঞ্চলে বন্যার কিছু ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। ছবিতে বন্যার পানিতে বহু গাড়ি ভেসে যেতে এবং ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের বসবাসের জন্য স্থাপন করা অস্থায়ী আবাসন প্লাবিত হতে দেখা যায়। আরো কিছু ছবিতে ডাল এবং দড়ি দিয়ে বন্যার্তদের পানি থেকে টেনে তুলতে দেখা যাচ্ছে। সানলিউরফা গভর্নরের কার্যালয় জানিয়েছে, সর্বশেষ খবর অনুসারে এই বন্যা ওই অঞ্চলের একটি প্রধান হাসপাতালের নিচতলা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।

রাকিব/এখন সময়